Skip to main content

Posts

হযরত ঈশা (আঃ) এর আগমনের সময়

আমরা পৃথিবীর প্রায় শেষ প্রান্তে এসে পড়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই জগতের শেষে হযরত ঈশা (আঃ) দাজ্জালকে হত্যা করে মানুষকে বাঁচাতে ফিরে আসবেন। এটি পুনরুত্থান দিনের আগে একটি বড় চিহ্ন। কিন্তু তিনি কখন ফিরে আসবেন তা আমরা জানি না। এই তথ্য জানা মানে এই বিশ্বের শেষ সময় সম্পর্কে জানা। সর্বশ্রেষ্ঠ বই, তথ্যবহুল, জ্ঞানগর্ভ পবিত্র আল-ক্বোরয়ান হযরত ঈশা (আঃ) এর প্রত্যাবর্তনের সময় সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত দিয়েছে এবং এটি হলো ২০৭১ সাল। নিচে ধারাবাহিকভাবে ২০৭১ সাল হওয়ার ব্যাখ্যা প্রদান করা হলোঃ এই আলোচনার মূলত দুইটি অংশ। এক, ১৯ সংখ্যার গুরুত্ব এবং দুই, হ্যালির ধুমকেতুর আগমন। ১৯ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সংখ্যা। বিশ্বের অনেক কিছুই ১৯ এর উপর নির্ভর করে। ১৯ সংখ্যার বিষয়ে পবিত্র ক্বোরয়ানেও বলা আছে। সুরা আল-মুদ্দাসসির এর ৩০ নম্বর আয়াতে এটা বলা হয়েছে। আল-মুদ্দাসসির অর্থ বস্ত্রাবৃত বা গুপ্ত রহস্য। সুতরাং, এই সুরাতে কিছু গুপ্ত রহস্য বা গুপ্ত কোন তথ্য আছে। যখন ইহুদী পন্ডিতেরা জাহান্নামে নিয়োজিত ফেরেশতাদের সংখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো, তখন আল্লাহ তায়ালা ক্বোরয়ানে এটার উত্তর অনেক তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রদান ক
Recent posts

লোহার গাণিতিক নিদর্শন

কুরআনে "আল হাদীদ(57)" নামক একটি সুরা আছে। সুরাটি কুরআনের 57 নম্বর সুরা। আরবি হাদীদকে বাংলায় লোহা বলে, ইংরেজীতে বলে Iron. আরবিতে "আল হাদীদ" শব্দটির gematrical value হচ্ছে 57 যা সুরাটির সিরিয়াল নম্বরের সাথে মিলে যায়। অপরদিকে আল বাদ দিয়ে শুধু "হাদীদ" এর gematrical value হল 26 আর আমরা জানি পিরিয়ডিক টেবিল তে লোহার স্থান 26 তে। হা=8,দাল=4,ইয়া= 10 (হা দাল ইয়া দাল=হাদীদ) কুরআনে আল্লাহ বলেন যে তিনি সবকিছুর ই হিসেব রাখেন। ৭২:২৮

১২ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত কম্পিউটার ভিত্তিক গবেষণা

কোর'আনের উপর প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত কম্পিউটার ভিত্তিক গবেষণার পর, প্রাকৃতিক প্রমাণ [Physical Evidence] আবিস্কৃত হয়েছিল যা প্রমাণ করে যে, কোর'আন আল্লাহ্‌-র অকাট্য বাণী। এই আবিষ্কার সারা বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। এবং মিলিয়ন মুসলিমের মাধ্যমে এই কাজের সংক্ষিপ্ত সার ছাপানো ও বিতরণ করা হয়েছিল। এই বিরাট চমকপ্রদ এবং অভাবনিয় আবিস্কারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও উর্ধে উড়ছিল। . তখন চলমান এই গবেষণা প্রকাশ করল এক বিস্ময়কর ঘটনা, যে অত্যন্ত জনপ্রিয় 'হাদিস ও সুন্নাহ' এর সঙ্গে নবী মোহাম্মদের কোন সম্পর্ক নাই, বরং 'হাদিস ও সুন্নাহ' এর আনুগত্য আল্লাহ্‌ ও তার শেষ নবীর প্রতি অবাধ্যতা প্রকাশ করে। [6:112; 25:31] . এই প্রাপ্তি সবস্থানের মুসলিম গোষ্ঠির বিশ্বাসের বিরোধিতার সম্মুখিন হল। ফলস্বরুপ : আমার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, এমন কি কোর'আনের অলৌকিকতার জনপ্রিয়তা ডুবে গেল, জীবন ও খ্যাতি বিপন্ন হবার বিন্দু পর্যন্ত। এটি এমন হল যে, মুসলমানদের যখন বলা হল যে, 'হাদিস ও সুন্নাহ' শয়তানের উদ্ভাবনা তারা

চন্দ্র আলাদা করা হয়েছে

চাঁদ চন্দ্র আলাদা করা হয়েছে, চলুন আয়াতটি দেখে নিই, "কেয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে, চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে" (সুরা আল ক্বামার আয়াত ১) সুরা ক্বামার (৫৪), আয়াত ১ এ এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে; আর এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পন্ন হয়েছে ১৯৬৯ সনের জুলাই ২১ তারিখ, বিকেল ৫:৫৪:১ (UTC) যখন চাঁদ থেকে চাঁদকে আলাদা করা হয় (চাঁদ থেকে ২১ কেজি চাঁদের পাথর নেওয়া হয়েছিল) বা ভাগ করা হয়েছিল, বা দ্বিখন্ডন করা হয়েছিল। এখন পৃথিবী তো আর সমতল না যে সব জায়গায় বিকেল হবে, অতএব, শুধু মিনিট আর সেকেন্ডের দিকে লক্ষ করা যেতে পারে যা কিনা সর্বত্রই এক, আর তা হচ্ছে ৫৪:১ ... আর এই ভবিষ্যদ্বাণী আমরা কুরআনের ৫৪:১ এ দেখতে পাই!! কাকতালীয় লাগবে অস্বীকারমনাদের কাছে, স্বাভাবিক। চলুন, দেখা যাক এ আয়াতের পর থেকে কুরআনের শেষ আয়াত পর্যন্ত মোট কয়টি আয়াত আছে: সুরা ৫৪ ক্বমর আয়াত ৫৪ সুরা ৫৫ রাহমান আয়াত ৭৮ সুরা ৫৬ ওয়াক্বিয়াহ আয়াত ৯৬ সুরা ৫৭ হাদীদ আয়াত ২৯ সুরা ৫৮ মুজাদিলাহ আয়াত ২২ সুরা ৫৯ হাশর আয়াত ২৪ সুরা ৬০ মুমতাহানাহ আয়াত ১৩ সুরা ৬১ স্বাফ্ আয়াত ১৪ সুরা ৬২ জুমু'আহ্ আয়াত ১১ সুরা ৬৩ মুনাফিকুন আয়াত ১১ সুরা ৬৪ তাগাবুন আয়াত ১৮

কৃপণতা

কৃপণতাঃ ৩ সুরা আল ইমরান আয়াত ১৮০ আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে এই কার্পন্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেন ধারণা না করে। ৪ সুরা আন নিসা আয়াত ৩৭ যারা নিজেরাও কার্পন্য করে এবং অন্যকেও কৃপণতা শিক্ষা দেয় আর গোপন করে সে সব বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দান করেছেন স্বীয় অনুগ্রহে-বস্তুত ঃ তৈরী করে রেখেছি কাফেরদের জন্য অপমান জনক আযাব। ১৭ সুরা বনী ঈসরাইল আয়াত ১০০ বলুনঃ যদি আমার পালনকর্তার রহমতের ভান্ডার তোমাদের হাতে থাকত, তবে ব্যয়িত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অবশ্যই তা ধরে রাখতে। মানুষ তো অতিশয় কৃপণ। ২৫ সুরা আল ফুরকান আয়াত ৬৭ তারা যখন ব্যয় করে, তখন অযথা ব্যয় করে না কৃপণতাও করে না এবং তাদের পন্থা হয় এতদুভয়ের মধ্যবর্তী। ৪৭ সুরা মুহাম্মাদ আয়াত ৩৮ শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তে

ঈসা আঃ

আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা, আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো। ৩ সুরা আল ইমরান আয়াত ৫৫ আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আর আহলে-কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপ

বদরের যুদ্ধ ও হোনাইনের যুদ্ধ

বদরের যুদ্ধঃ ৪ সুরা নিসা আয়াত ১২৩-১২৭ বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো। আপনি যখন বলতে লাগলেন মুমিনগণকে-তোমা দের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে তোমাদের পালনকর্তা আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন। অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা চিহ্নিত ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন। বস্তুতঃ এটা তো আল্লাহ তোমাদের সুসংবাদ দান করলেন, যাতে তোমাদের মনে এতে সান্ত্বনা আসতে পারে। আর সাহায্য শুধুমাত্র পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী আল্লাহরই পক্ষ থেকে, যাতে ধবংস করে দেন কোন কোন কাফেরকে অথবা লাঞ্ছিত করে দেন যেন ওরা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যায়। হোনাইনের যুদ্ধঃ সুরা ৯ আত তাওবা ২৫-২৭ আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন অনেক ক্ষেত্রে এবং হোনাইনের দিনে, যখন তোমাদের সংখ্যধিক্য তোমাদের প্রফুল্ল করেছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্তেও তোমাদের জন্য সংকু