Skip to main content

চন্দ্র আলাদা করা হয়েছে

চাঁদ চন্দ্র আলাদা করা হয়েছে, চলুন আয়াতটি দেখে নিই,
"কেয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে, চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে" (সুরা আল ক্বামার আয়াত ১)
সুরা ক্বামার (৫৪), আয়াত ১ এ এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে; আর এই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পন্ন হয়েছে ১৯৬৯ সনের জুলাই ২১ তারিখ, বিকেল ৫:৫৪:১ (UTC) যখন চাঁদ থেকে চাঁদকে আলাদা করা হয় (চাঁদ থেকে ২১ কেজি চাঁদের পাথর নেওয়া হয়েছিল) বা ভাগ করা হয়েছিল, বা দ্বিখন্ডন করা হয়েছিল। এখন পৃথিবী তো আর সমতল না যে সব জায়গায় বিকেল হবে, অতএব, শুধু মিনিট আর সেকেন্ডের দিকে লক্ষ করা যেতে পারে যা কিনা সর্বত্রই এক, আর তা হচ্ছে ৫৪:১ ... আর এই ভবিষ্যদ্বাণী আমরা কুরআনের ৫৪:১ এ দেখতে পাই!! কাকতালীয় লাগবে অস্বীকারমনাদের কাছে, স্বাভাবিক। চলুন, দেখা যাক এ আয়াতের পর থেকে কুরআনের শেষ আয়াত পর্যন্ত মোট কয়টি আয়াত আছে:
সুরা ৫৪ ক্বমর আয়াত ৫৪
সুরা ৫৫ রাহমান আয়াত ৭৮
সুরা ৫৬ ওয়াক্বিয়াহ আয়াত ৯৬
সুরা ৫৭ হাদীদ আয়াত ২৯
সুরা ৫৮ মুজাদিলাহ আয়াত ২২
সুরা ৫৯ হাশর আয়াত ২৪
সুরা ৬০ মুমতাহানাহ আয়াত ১৩
সুরা ৬১ স্বাফ্ আয়াত ১৪
সুরা ৬২ জুমু'আহ্ আয়াত ১১
সুরা ৬৩ মুনাফিকুন আয়াত ১১
সুরা ৬৪ তাগাবুন আয়াত ১৮
সুরা ৬৫ ত্বালাক্ব আয়াত ১২
সুরা ৬৬ তাহরীম আয়াত ১২
সুরা ৬৭ মূলক আয়াত ৩০
সুরা ৬৮ ক্বলম আয়াত ৫২
সুরা ৬৯ হাক্বক্বহ আয়াত ৫২
সুরা ৭০ মা'আরিজ আয়াত ৪৪
সুরা ৭১ নূহ আয়াত ২৮
সুরা ৭২ জিন্ন আয়াত ২৮
সুরা ৭৩ মুযযামমিল আয়াত ২০
সুরা ৭৪ মুদ্দাসসির আয়াত ৫৬
সুরা ৭৫ ক্বিয়ামাহ আয়াত ৪০
সুরা ৭৬ ইনসান আয়াত ৩১
সুরা ৭৭ মুরসালাত আয়াত ৫০
সুরা ৭৮ নাবা' আয়াত ৪০
সুরা ৭৯ নাযি'আত আয়াত ৪৬
সুরা ৮০ আবাসা আয়াত ৪২
সুরা ৮১ তাকবীর আয়াত ২৯
সুরা ৮২ ইনফিত্বার আয়াত ১৯
সুরা ৮৩ তাত্বফীফ আয়াত ৩৬
সুরা ৮৪ ইনশিক্বাক্ব আয়াত ২৫
সুরা ৮৫ বুরূজ আয়াত ২২
সুরা ৮৬ ত্বারিক্ব আয়াত ১৭
সুরা ৮৭ আলা আয়াত ১৯
সুরা ৮৮ গাশিয়াহ আয়াত ২৬
সুরা ৮৯ ফজর আয়াত ৩০
সুরা ৯০ বালাদ আয়াত ২০
সুরা ৯১ শামস আয়াত ১৫
সুরা ৯২ লাইল আয়াত ২১
সুরা ৯৩ দোহা আয়াত ১১
সুরা ৯৪ ইনশিরাহ আয়াত ৮
সুরা ৯৫ তীন আয়াত ৮
সুরা ৯৬ 'আলাক্ব আয়াত ১৯
সুরা ৯৭ ক্বাদর আয়াত ৫
সুরা ৯৮ বাইয়িনাহ আয়াত ৮
সুরা ৯৯ যিলযাল আয়াত ৮
সুরা ১০০ 'আদিয়াত আয়াত ১১
সুরা ১০১ ক্বারি'আহ আয়াত ১১
সুরা ১০২ তাকাছুর আয়াত ৮
সুরা ১০৩ 'আসর আয়াত ৩
সুরা ১০৪ হুমাযাহ আয়াত ৯
সুরা ১০৫ ফীল আয়াত ৫
সুরা ১০৬ ক্বুরাইশ আয়াত ৪
সুরা ১০৭ মা'উন আয়াত ৭
সুরা ১০৮ কাওছার আয়াত ৩
সুরা ১০৯ কাফিরূন আয়াত ৬
সুরা ১১০ নাসর আয়াত ৩
সুরা ১১১ মাসাদ আয়াত ৫
সুরা ১১২ ইখলাস আয়াত ৪
সুরা ১১৩ ফলক আয়াত ৫
সুরা ১১৪ নাস আয়াত ৬
(অর্থাৎ আয়াত মোট ১৩৮৯টি)
লক্ষ করার বিষয় যে সুরা ক্বামার (৫৪), আয়াত ১ এর পর থেকে কুরআনের শেষ পর্যন্ত মোট ১৩৮৯টি আয়াত রয়েছে। আর ইংরেজী সন ১৯৬৯ হচ্ছে আরবিতে হচ্ছে ১৩৮৯ই হয়।
[আরো লক্ষ করে দেখেন ১+৩+৮+৯ = ২১] ২১ কেজি চন্দ্রের পাথর আরবি ১৩৮৯ তে চাঁদ থেকে আলাদা করে আনা হয়েছিল।
সব মহিমা এক আল্লাহ্র, কিন্তু অধিকাংশ তা জানে না!!! ১৯৬৯ সনের জুলাই [চান্দ্রবাৎসরিক (আরবি) ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিন ছিল- ৬ জুমাদা-১, ১৩৮৯]
চাঁদ থেকে মানুষ পাথর নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

Comments

  1. For you kind information, Apollo missions brought back 382 kilograms (842 pounds) of lunar rocks, core samples, pebbles, sand and dust from the lunar surface.

    NOT 21 Kilograms

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

উনিশ তত্ব উদঘাটন ও উনিশ সংখ্যার গানিতিক কোডিং

 সুরা মুদাসসির এবং ফেরেসতার সংখ্যা উনিশ এবং উনিশ তত্ব উদঘাটন । "সেখানে (জাহান্নামে) নিয়োজিত আছে উনিশ জন ফেরেশতা। আমি ফেরেশতাদেরকে জাহান্নামের প্রহরী রেখেছি কাফিরদের পরীক্ষার জন্য আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে আহলে কিতাবের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে ঈমানদারদের ঈমান বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগন এবং আহলে কিতাব যেন সন্দেহ পোষন না করে । এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা ও কাফিররা বলবেঃ আল্লাহ এ বর্ণনা দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন ? এইভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহীনি সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। এই বর্ণনা তো সমস্ত মানুষের জন্য নিছক উপদেশ । (সূরা মুদ্দাসসির : ৩০,৩১) এই আয়াতে বলা হচ্ছে জাহান্নামের আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্যে ১৯ জন ফেরেশ্তা রাখা হয়েছে। আর তাদের সংখ্যাকে কাফেরদের পরিক্ষা করার জন্য নিধারণ করা হয়েছে। একই সাথে কিতাবীদের বিশ্বাস দৃঢ় করতে আর মুমিনদের ইমান বৃদ্ধির কাজেও লাগবে । তার মানে এখানে ১৯ সংখ্যা দিয়ে আল্লাহ কিতাবীদের ঈমান বৃদ্ধি করেছেন । মিশরের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. রশিদ কোরআন নিয়ে এক ব্যাপক গবেষণা চালিয়

বিপরীত শব্দ এবং সমার্থক শব্দ

বিপরীত শব্দ এবং সমার্থক শব্দ এসেছে সমান কিংবা দ্বিগুনঃ লাভ এবং ক্ষতি = ৯ বার করে এসেছে। গরম এবং ঠান্ডা = ৪ বার করে এসেছে। আশা এবং ভয় শব্দ দুটি এসেছে = ৮ বার। সুবিচার এবং অবিচার = ১৫ বার। দুনিয়া এবং আখেরাত = ১১৫ বার। উপকার এবং অপকার = ২০ বার। ফেরেশতা এবং শয়তান =৮০ বার। গন্তব্যহীন এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল = ২৮ বার। শাস্তি-১১৭ বার, ক্ষমা- ২৩৪ (২*১১৭) বার। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস = ২৫ বার। গরিবী- ১৩ বার, প্রাচুর্য- ২৬ (১৩*২) বার। ধার্মিক- ৬ বার, নাস্তিক- ৩ বার। পবিত্র এবং অপবিত্র = ৭ বার, অপবিত্রতা এবং নোংরামী = ১০ বার। দয়ালু (রহমত)- ১১৪ বার। দয়াবান (রহিম)- ১১৪ বার, সদয় (রহমান)- ৫৭ বার (৫৭*২=১১৪) বার করে এসেছে। কালু (তারা বললো) এবং কুল (তুমি বল) = ৩৩২ বার। বীজ এবং চারা এবং ফল = ১৪ বার। অশ্লিলতা এবং পথভ্রষ্ট এবং সীমালংঘনকারী = ২৪ বার, পাপ = ৪৮ (২৪*২) বার। সূর্য এবং আলো = ৩৩ বার। খোলামেলা এবং জনসম্মুখে = ১৬ বার। যাদু এবং প্রলুব্ধকারী =৬০ বার। ভাষা এবং উপদেশ = ২৫ বার। ক্ষমা এবং পথ-প্রদর্শক = ৭৯ বার। ন্যায়নিষ্ট এবং পুরুস্কার = ২০ বার। যাকাত এবং আর্শিবাদ = ৩২ বার। সাত বেহেশ্ত এবং বেহেশ্ত ত

পৃথীবির স্হলভাগ ও জলভাগ

বর্তমান বিজ্ঞান নিরীক্ষনের মাধ্যমে দেখিয়েছে পৃথিবীতে স্থলভাগের মোট আয়তনের ২৯ ভাগ আর জলভাগের পরিমান ৭১ ভাগ প্রায়। চলুন দেখি কোরআন কি বলে, কোরআনে সমুদ্র বা জলাধার শব্দটি এসেছে ৩২ বার। ভুমি বা জমি শব্দটি এসেছে ১৩ বার। এদের রিপিটেশন এর পরিমানকে অনুপাতে প্রকাশ করলে পাওয়া যায়- স্থলভাগের পরিমাণ = {১৩/(১৩+৩২)}=২৮.৮৮৮% জলভাগের পরিমান = {৩২/(১৩+৩২)} =৭১.১১১% দেড় হাজার বছর আগের কোন মানুষ কি জানতো পৃথিবীর জলভাগ আর স্থলভাগের অনুপাত কতো ? আল্লাহ আমাদের কুরআন নিয়ে গবেষনা করার তৌফিক দান করুন আমিন । আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদ ওয়ালা আলে মোহাম্মাদ