Skip to main content

১২ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত কম্পিউটার ভিত্তিক গবেষণা

কোর'আনের উপর প্রায় ১২ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত কম্পিউটার ভিত্তিক গবেষণার পর, প্রাকৃতিক প্রমাণ [Physical Evidence] আবিস্কৃত হয়েছিল যা প্রমাণ করে যে, কোর'আন আল্লাহ্‌-র অকাট্য বাণী। এই আবিষ্কার সারা বিশ্বজুড়ে মুসলিম সমাজে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। এবং মিলিয়ন মুসলিমের মাধ্যমে এই কাজের সংক্ষিপ্ত সার ছাপানো ও বিতরণ করা হয়েছিল। এই বিরাট চমকপ্রদ এবং অভাবনিয় আবিস্কারের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও উর্ধে উড়ছিল।
.
তখন চলমান এই গবেষণা প্রকাশ করল এক বিস্ময়কর ঘটনা, যে অত্যন্ত জনপ্রিয় 'হাদিস ও সুন্নাহ' এর সঙ্গে নবী মোহাম্মদের কোন সম্পর্ক নাই, বরং 'হাদিস ও সুন্নাহ' এর আনুগত্য আল্লাহ্‌ ও তার শেষ নবীর প্রতি অবাধ্যতা প্রকাশ করে। [6:112; 25:31]
.
এই প্রাপ্তি সবস্থানের মুসলিম গোষ্ঠির বিশ্বাসের বিরোধিতার সম্মুখিন হল। ফলস্বরুপ : আমার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, এমন কি কোর'আনের অলৌকিকতার জনপ্রিয়তা ডুবে গেল, জীবন ও খ্যাতি বিপন্ন হবার বিন্দু পর্যন্ত। এটি এমন হল যে, মুসলমানদের যখন বলা হল যে, 'হাদিস ও সুন্নাহ' শয়তানের উদ্ভাবনা তারা একই রকম প্রতিক্রিয়া করল যেমন প্রতিক্রিয়া করে খ্রিষ্টানরা যদি তাদের বলা হয় যে, নবী ঈসা আল্লাহ্‌-র পুত্র নয়।
.
অনন্তর কোর'আনের কাঠামোগত প্রমাণ এটা নিরুপণ করতে ও বুঝতে সাহায্য করে যে, 'হাদিস ও সুন্নাহ' শয়তানের উদ্ভাবন, প্রত্যেক মুক্ত চিন্তার মানুষ একমাত্র কোর'আন এ বর্ণনাকৃত প্রাপ্তিকে গ্রহণ করবে। এই প্রকৃতির মানুষের জন্য, কোর'আন একটি সম্পূর্ণ নতুন মুক্তির ধারণা, এবং সম্পূর্ণ সতর্কতা যে, মুসলিম জনগণ শয়তানের চক্রান্তের শিকার হয়েছে।
.
.
রাশাদ খলিফা
১৯/৮/১৯৮২
ভাষান্তর : রেবেকা সুলতানা লিজা

Comments

Popular posts from this blog

উনিশ তত্ব উদঘাটন ও উনিশ সংখ্যার গানিতিক কোডিং

 সুরা মুদাসসির এবং ফেরেসতার সংখ্যা উনিশ এবং উনিশ তত্ব উদঘাটন । "সেখানে (জাহান্নামে) নিয়োজিত আছে উনিশ জন ফেরেশতা। আমি ফেরেশতাদেরকে জাহান্নামের প্রহরী রেখেছি কাফিরদের পরীক্ষার জন্য আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে আহলে কিতাবের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে ঈমানদারদের ঈমান বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগন এবং আহলে কিতাব যেন সন্দেহ পোষন না করে । এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা ও কাফিররা বলবেঃ আল্লাহ এ বর্ণনা দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন ? এইভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহীনি সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। এই বর্ণনা তো সমস্ত মানুষের জন্য নিছক উপদেশ । (সূরা মুদ্দাসসির : ৩০,৩১) এই আয়াতে বলা হচ্ছে জাহান্নামের আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্যে ১৯ জন ফেরেশ্তা রাখা হয়েছে। আর তাদের সংখ্যাকে কাফেরদের পরিক্ষা করার জন্য নিধারণ করা হয়েছে। একই সাথে কিতাবীদের বিশ্বাস দৃঢ় করতে আর মুমিনদের ইমান বৃদ্ধির কাজেও লাগবে । তার মানে এখানে ১৯ সংখ্যা দিয়ে আল্লাহ কিতাবীদের ঈমান বৃদ্ধি করেছেন । মিশরের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. রশিদ কোরআন নিয়ে এক ব্যাপক গবেষণা চালিয়...

বিপরীত শব্দ এবং সমার্থক শব্দ

বিপরীত শব্দ এবং সমার্থক শব্দ এসেছে সমান কিংবা দ্বিগুনঃ লাভ এবং ক্ষতি = ৯ বার করে এসেছে। গরম এবং ঠান্ডা = ৪ বার করে এসেছে। আশা এবং ভয় শব্দ দুটি এসেছে = ৮ বার। সুবিচার এবং অবিচার = ১৫ বার। দুনিয়া এবং আখেরাত = ১১৫ বার। উপকার এবং অপকার = ২০ বার। ফেরেশতা এবং শয়তান =৮০ বার। গন্তব্যহীন এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল = ২৮ বার। শাস্তি-১১৭ বার, ক্ষমা- ২৩৪ (২*১১৭) বার। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাস = ২৫ বার। গরিবী- ১৩ বার, প্রাচুর্য- ২৬ (১৩*২) বার। ধার্মিক- ৬ বার, নাস্তিক- ৩ বার। পবিত্র এবং অপবিত্র = ৭ বার, অপবিত্রতা এবং নোংরামী = ১০ বার। দয়ালু (রহমত)- ১১৪ বার। দয়াবান (রহিম)- ১১৪ বার, সদয় (রহমান)- ৫৭ বার (৫৭*২=১১৪) বার করে এসেছে। কালু (তারা বললো) এবং কুল (তুমি বল) = ৩৩২ বার। বীজ এবং চারা এবং ফল = ১৪ বার। অশ্লিলতা এবং পথভ্রষ্ট এবং সীমালংঘনকারী = ২৪ বার, পাপ = ৪৮ (২৪*২) বার। সূর্য এবং আলো = ৩৩ বার। খোলামেলা এবং জনসম্মুখে = ১৬ বার। যাদু এবং প্রলুব্ধকারী =৬০ বার। ভাষা এবং উপদেশ = ২৫ বার। ক্ষমা এবং পথ-প্রদর্শক = ৭৯ বার। ন্যায়নিষ্ট এবং পুরুস্কার = ২০ বার। যাকাত এবং আর্শিবাদ = ৩২ বার। সাত বেহেশ্ত এবং বেহেশ্ত ত...

সময়কাল, ঘন্টা + দিন + মাস + বছর

একদিন সমান কত ঘন্টা হয় ? ۞ কোরআনে ঘন্টা অর্থে 'সায়াত' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মোট ২৪ বার। একবছর সমান কতদিন হয় ? ۞ কোরআনে 'দিন' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মোট ৩৬৫ বার। একমাস সমান কতদিন হয় ? ۞ বহুবচনে দিন শব্দটি এসেছে ৩০ বার। এক বছর সমান কত মাস হয় ? ۞ মাস শব্দটি এসেছে ১২ বার। (একবছর হয় ১২ মাসে) কোরআনে চাদ শব্দটি এসেছে ২৭ বার। ۞ চাদ পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় ২৭.২৩ দিন । এখানে বিভ্রান্তিতে পরবেন না , কারণ পূর্ণচন্দ্রের সময় (২৯.৫৩ দিন) এর সাথে। এই সময়টা লাগে চাদের এক পূর্নিমা থেকে আরেক পুর্ণিমা পর্যন্ত পৌছতে। আর এটা দিয়ে আরবী মাস হিসেব করা হয় । বছর শব্দটি কোরআনে এসেছে ১৯ বার। এখানেও সুনির্দিষ্ট কারন আছে। লিপ-ইয়ার এর মাধ্যমে সৌরবর্ষ সঠিক করা হয়। পৃথিবী যে সময়ে (৩৬৫ দিন) সূর্যের চারিদেকে একবার ঘুরে সেই সময়ে চাদ প্রায ১২ বার পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে। প্রথমটা দিয়ে সৌরবর্ষ আর পরেরটা দিয়ে চন্দ্রবর্ষ হিসেব করা হয়। এভাবে পৃথিবী ও চাদ যে স্থান থেকে ঘুরা শুরু করেছিল ঠিক সেই অবস্থানে আসতে সময় লাগে ১৯ বছর। আর কোরআনে ঠিক ১৯ বারই এসেছে বছর শব্দটি।...