Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2013

আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা মানুষ

আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা মানুষ ۞ মানুষ শব্দটি কোরআনে এসেছে ৬৫ বার। ( মাটি ১৭ বার + বীর্য ফোটা ১২ বার + ভ্রুন ৬ বার +মাংসপিন্ড ৩ বার + হার ১৫ বার + মাংস ১২ বার) = ৬৫ । অর্থাৎ মানুষ তৈরীর বিভিন্ন উপাদানগুলো কোরআনে যতবার করে এসেছে এই রিপিটেসনের সংখ্যার যোগফল আর মানুষ শব্দটির শব্দটার রিপিটেসনের সমান। ۞ (মানুষ= মাটি+বীর্যফোটা+ভ্রুন+মাংসপিন্ড+হার+মাংস) আল্লাহ আমাদের কুরআন নিয়ে গবেষনা করার তৌফিক দান করুন আমিন । আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদ ওয়ালা আলে মোহাম্মাদ

সময়কাল, ঘন্টা + দিন + মাস + বছর

একদিন সমান কত ঘন্টা হয় ? ۞ কোরআনে ঘন্টা অর্থে 'সায়াত' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মোট ২৪ বার। একবছর সমান কতদিন হয় ? ۞ কোরআনে 'দিন' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে মোট ৩৬৫ বার। একমাস সমান কতদিন হয় ? ۞ বহুবচনে দিন শব্দটি এসেছে ৩০ বার। এক বছর সমান কত মাস হয় ? ۞ মাস শব্দটি এসেছে ১২ বার। (একবছর হয় ১২ মাসে) কোরআনে চাদ শব্দটি এসেছে ২৭ বার। ۞ চাদ পৃথিবীর চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় ২৭.২৩ দিন । এখানে বিভ্রান্তিতে পরবেন না , কারণ পূর্ণচন্দ্রের সময় (২৯.৫৩ দিন) এর সাথে। এই সময়টা লাগে চাদের এক পূর্নিমা থেকে আরেক পুর্ণিমা পর্যন্ত পৌছতে। আর এটা দিয়ে আরবী মাস হিসেব করা হয় । বছর শব্দটি কোরআনে এসেছে ১৯ বার। এখানেও সুনির্দিষ্ট কারন আছে। লিপ-ইয়ার এর মাধ্যমে সৌরবর্ষ সঠিক করা হয়। পৃথিবী যে সময়ে (৩৬৫ দিন) সূর্যের চারিদেকে একবার ঘুরে সেই সময়ে চাদ প্রায ১২ বার পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে। প্রথমটা দিয়ে সৌরবর্ষ আর পরেরটা দিয়ে চন্দ্রবর্ষ হিসেব করা হয়। এভাবে পৃথিবী ও চাদ যে স্থান থেকে ঘুরা শুরু করেছিল ঠিক সেই অবস্থানে আসতে সময় লাগে ১৯ বছর। আর কোরআনে ঠিক ১৯ বারই এসেছে বছর শব্দটি।

তুলনা করার ক্ষেত্রে সমান সংখ্যা

ব্যাপারটি হলো যে দুটি শব্দের মাঝে তুলনা করা হয়েছে ঐ দুটি শব্দ কোরআনে সমপরিমান সংখ্যায় এসেছে। যেমন- ১. "আল্লাহ তায়ালার কাছে ঈসার তুলনা হচ্ছে আদম এর মত"। (আল-ইমরান : ৫৯) ঈসার জন্য গ্রহন করেছেন অলৌকিক ভাবে, আর আদম ও ঠিক তাই। ২. যারা আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে কুকুরের মত"। (সূরা আরাফ) যারা আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অস্বীকার করে বাক্যটি কোরআনে এসেছে ৫ বার। আবার কুকুর শব্দটিও কোরআনে এসেছে ৫ বার। আল্লাহ আমাদের কুরআন নিয়ে গবেষনা করার তৌফিক দান করুন আমিন । আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদ ওয়ালা আলে মোহাম্মাদ

কাজ করলে সেই কাজের ফলাফল

কাজ ও কাজের ফলাফল সমান সংখ্যায় এসেছে কোরআনে। ১. যাকাত দিলে বরকত আসে। তাই যাকাত ও বরকত শব্দ দুটি এসেছে ৩২ বার করে। ২. মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদাত করা। তাই "মানুষ সৃষ্টি" ও "ইবাদত" শব্দ দুটি এসেছে ১৬ বার করে। ৩. গোলামের কাজ হলো গোলামী করা। গোলাম ও গোলামী শব্দ দুটি এসেছে ১৫২ বার করে। ৪. নেশা করলে মাতাল হয়। "নেশা" ও "মাতাল" শব্দ দুটি এসেছে ৬ বার করে। ৫. হায়াত লাভ করলে মউত হবেই। তাই হায়াত ও মউত শব্দ দুটি এসেছে মোট ১৬ বার করে। ৬. মানুষ হেদায়েত পেলে তার উপর রহমত বর্ষিত হয়। হেদায়েত ও রহমত শব্দ দুটি এসেছে মোট ৭৯ বার করে। ৭. কাজ করলে কাজের ফলাফল হবে। কাজ ১০৮ বার ফলাফল ১০৮ বার। আল্লাহ আমাদের কুরআন নিয়ে গবেষনা করার তৌফিক দান করুন আমিন । আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদ ওয়ালা আলে মোহাম্মাদ

ইরাম শহর

ইরাম শহর এর রহস্য উদঘাটন, কোরআন এ সূরা আল ফজর এর সাত নং আয়াতে ইরাম নামক একটি শহর এর ধ্বংস এর কথা বলা হয়েছে যারা সুু্উচ্চ স্তম্ভের অধিকারী ছিল । কিন্তু ইতিপুর্বে ইরাম নামক কোন শহর এর নাম পৃথিবীর ইতিহাসে খুজে পাওয়া যায় না। এজন্য ঐতিহাসিক ও তাফসিরকারকগণ ঐ শহরটির সম্বন্ধে কোন ব্যাখ্যা দিতে পারতেন না। সুরা ৮৯ ফাজর আয়াত ৬-৮ ۞ আপনি কি লক্ষ্য করেননি , আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন , ۞ যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং ۞  যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি   ১৯৭৩ সালে সিরিয়ার এরলুস নামক একটি প্রাচিন শহর খননের সময় কিছু শিলালিপি পাওয়া যায়। এ সমস্ত লিপি পর্যবেক্ষন করে সেখানে ৪০০০ বছরের পুরনো একটি সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। শিলালিপিগুলোতে উল্যেখ পাওয়া যায় ইরাম নামক একটি শহরের নাম, যে শহরের সাথে তৎকালীন এরলুস শহরের লোকজন ব্যবসা-বানিজ্য করতো। এই সত্যটা অবিস্কার হলো ১৯৭৩ সালে, এর আগে কেউ এই শহরের রহস্য জানতো না, অথচ কোরআন শহরটির কথা বলে গিয়েছে ১৪০০ বছর আগ